বঙ্গরুপ টেলিভিশন প্রকাশিত: ৪ আগস্ট , ২০২২ , ০৬:৫৩ এম
তিনি বলেন,“নানা কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের প্রতি মনোযোগ হারিয়ে ফেলছে। যার মূল কারণ ইন্টারনেট ও গ্যাজেট। এছাড়াও নানান কারণে তৈরি হওয়া বয়সন্ধিকালীন বিষণ্নতা, হতাশা, দুঃশ্চিন্তা, উদ্বেগের জন্য অনেক শিক্ষার্থী ঠিকমত পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারছে না।
“এই শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী করতে তাদের সমস্যাকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।”
শিক্ষার্থীদের নিকট পড়াশোনার বিষয়টি আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “কোচিং, প্রাইভেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজে পড়ার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে। গ্রেড বা নম্বরের জন্য চাপ না দিয়ে জানার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।”
এ বিষয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে হ্যালো।
তাসনুভা তাসনিম নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বলছিল, “মোবাইলে আসক্তির কারণেই পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। আমাদের বয়সীদের এই সময়ে খেলাধুলা, বাগান করা ইত্যাদি কাজে জড়িত থাকার কথা। কিন্তু খেলার জায়গা না থাকায় আমাদেরকে সারাদিন বাসায় বসে থাকতে হয় এবং আমরা মোবাইল ব্যবহার করতে বাধ্য হই আমাদের রিক্রিয়েশনের জন্য। ধীরে ধীরে এটি আমাদেরকে আসক্ত করে ফেলে।”
তুশি সাহা নামে আরেক শিক্ষার্থী বলছিল, “পারিবারিক সমস্যা, ডিপ্রেশন ও বয়ঃসন্ধীকালীন আবেগের জন্য পড়াশোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। ঠিকমত মনোযোগ দিতে পারি না।”
পড়াশোনায় মনোযোগের অভাব হওয়ায় প্রাথমিকভাবে মোবাইলকেই দায়ী করতে চায় আরিক আবরার নামে একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী।