লাইভ টেলিভিশন২৪ প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারী , ২০২৩ , ২৩:১২ পিএম
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীন থেকে। এরপর তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মহামারির শুরুর দিকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চীন ছাড়ে।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় চীন থেকে। এরপর তা বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মহামারির শুরুর দিকে বিদেশি শিক্ষার্থীরা চীন ছাড়ে। পর্যটকরা বন্ধ করে ভ্রমণ। চীনের বিজ্ঞানীরা বিদেশি কনফারেন্সে যোগ দেওয়া বন্ধ করেন। তাছাড়া বিদেশি কর্মকর্তারা চীনের ব্যবসায় ফিরতে বাধাগ্রস্ত হন। ৮ জানুয়ারি থেকে করোনার বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে চীন।
ফলে পুনরায় বাণিজ্যিক, বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ বাধাগ্রস্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।চীনের অভ্যন্তরে করোনার প্রকোপ মারাত্মকভাবে বাড়তে শুরু করেছে। প্রতি দিন লাখ লাখ মানুষ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঠাই হচ্ছে না। করোনার শূন্য নীতি জীবন রক্ষায় ভালোই কাজে দিয়েছিল।
তবে নানা ধরনের অসঙ্গতির কারণে চীন সরকার যথাযথ প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বর্তমান অনুযায়ী যদি ভাইরাস ছাড়াতে থাকে তাহলে আসন্ন মাসগুলোতে ১৫ লাখের মতো চীনা নাগরিক মারা যেতে পারে।
মূলত চীন ইস্যুতে বাইরের লোকদের সাহায্য করার মতো তেমন কিছু নেই। চীন সরকার ইউরোপ থেকে বিনামূল্যে কার্যকর ভ্যাকসিনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতি বিভিন্ন ধরনের ধাক্কা সামলানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে পারে। পরিস্থিতি সামলানো খুব একটা সহজ হবে না।
তাছাড়া চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি সংকোচিত হতে পারে। বিশেষকরে যদি স্থানীয় কর্মকর্তারা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে উল্টো পদক্ষেপ নেয়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে অর্থনৈতিক কার্যক্রম বাড়বে। কারণ এসময় চীনাদের চাহিদা বেড়ে যাবে। চীনের করোনা বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হতে যাচ্ছে ২০২৩ সালের অর্থনীতির জন্য বড় ঘটনা।