ঢাকা বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর , ২০২৪ ,  ৫ আষাঢ় ১৪২৯

হতাশা-প্রতিকূলড়োঢ রোধে যত্নবান হতে হবে পরিবার-সমাজকে

বঙ্গরুপ টেলিভিশন প্রকাশিত: ১০ সেপ্টেম্বর , ২০২২ , ০৫:৩৩ এম

শেয়ার করুনঃ
News Thumbnail

প্রতিটি মানুষই তার নিজের জীবনকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসে। সবাই চায় পৃথিবীতে সুন্দরভাবে বাঁচতে। তবে পৃথিবীতে টিকে থাকার ক্ষেত্রে সবার চাওয়া কিংবা জীবনযাপনের পারিপার্শ্বিক অবস্থা একই রকম থাকে না। মানুষের চাওয়ার ভিন্নতা, হতাশা আর অপূর্ণতাকে সহ্য করতে না পেরে অনেকেই নিজেকে অকালেই শেষ করে ফেলেন। বর্তমান সময়ে এই আত্মহত্যা একটি বড় সমস্যা। এটি শুধু একটি পরিবারের জন্যই নয়, দীর্ঘ মেয়াদে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্যও প্রকট আকার ধারণ করে।

মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, মানুষ হতাশ হলে খুব ছোট কারণেও নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারে না। তখন নিজেকে একা মনে করে এবং আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। এজন্য আশপাশের মানুষদের ব্যাপারে সবাইকে অনেক বেশি যত্নবান ও দায়িত্বশীল হতে হবে।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, সার্বিকভাবে মৃত্যুর ১৭তম প্রধান কারণ আত্মহত্যা। অবশ্য ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর চতুর্থ প্রধান কারণ আত্মহত্যা। বিশ্বে প্রতিবছর সাত লাখ তিন হাজার মতো মানুষ আত্মহত্যা করে। এ হিসাবে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহননের পথ বেছে নেয়। যদিও দারিদ্র্য সরাসরি আত্মহত্যার সঙ্গে জড়িত নয়, তবে এটি আত্মহত্যার ঝুঁকি বাড়ায়। ডব্লিউএইচও’র এক প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে প্রতিবছর যত মানুষ আত্মহত্যা করে তার ৭৭ শতাংশই হয়ে থাকে কম আয় ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজা খানম জাগো নিউজকে বলেন, মানুষ হুট করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় না, একদিনে ওই অবস্থায়ও পৌঁছে যায় না। বিভিন্ন প্রতিকূল অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে যেতে একসময় মনে করে আর পারছি না। তখন এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে। ধীরে ধীরে আত্মহত্যার পথে এগোনোর সময় কিন্তু তার অবস্থানটা বোঝা যায়। সে সময় দেখা যায় ওই ব্যক্তি কিছুটা একা হয়ে পড়ছেন, চুপচাপ হয়ে যাচ্ছেন, কারও সঙ্গে মিশছেন না। তখন এই অবস্থা দেখা বোঝা যায় তিনি কোনো সমস্যায় আছেন। কাজেই সে সময় যদি তার সমস্যা সম্পর্কে জানা যায়, কিংবা তার সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা করা যায়, তাহলে তাকে এই পথ থেকে ফেরানো সম্ভব হবে। এক্ষেত্রে পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, সহপাঠীরা বড় ভূমিকা রাখতে পারে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সূত্রে জানা যায়, দেশে ২০২১ সালে ১১ হাজারের বেশি মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। বাংলাদেশ পুলিশের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে দেশে আত্মহত্যা করেছেন ১০ হাজার ৭৪৯ জন। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দেশে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে যথাক্রমে ১০ হাজার ২৫৬ ও ১১ হাজার। ২০১৯-২০ সময়কালে দেশে আত্মহত্যা করেছেন ১৪ হাজার ৪৩৬ জন, যাদের মধ্যে ২০-৩৫ বছর বয়সীই সবচেয়ে বেশি। অন্যান্য বছরে নারীদের আত্মহত্যার প্রবণতা বেশি হলেও এ সময়ে নারীদের তুলনায় পুরুষের আত্মহত্যার পরিমাণ ছিল তিনগুণ।

শফিকুজ্জামান খান মোস্তফা/এমবুইউ
শেয়ার করুনঃ

এই বিভাগের আরোও খবর

  • বাংলাদেশের পুঁথি । Bangarup Television
  • যা খেয়ে মানুষ রোগে ভোগে তা খাদ্য হতে পারে না: খাদ্যমন্ত্রী
    যা খেয়ে মানুষ রোগে ভোগে তা খাদ্য হতে পারে না: খাদ্যমন্ত্রী
  • ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
    ডিজিটাল কমার্সের জন্য ডাকঘর এখন একটা নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান
  • হতাশা-প্রতিকূলড়োঢ  রোধে যত্নবান হতে হবে পরিবার-সমাজকে
    হতাশা-প্রতিকূলড়োঢ রোধে যত্নবান হতে হবে পরিবার-সমাজকে
Logo